পরিবেশ না থাকলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না: খসরু
ব্যুরো রিপোর্ট, চট্টগ্রাম:
নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ না থাকলে বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এছাড়া বাংলাদেশ নাগরিকত্ব আইন-২০১৬ সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে দাবি করেন তিনি।
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের জিইসিস্থ একটি হোটেলে বাংলাদেশ নাগরিকত্ব আইন-২০১৬ ‘নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন খসরু। সভায় সভাপতিত্ব করেন নগর বিএনপির সভাপতি ডা.শাহাদাত হোসেন।
খসরু বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দিবা স্বপ্ন দেখছেন। তারা আবারও ৫ জানুয়ারির মতো একটি নির্বাচন দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। এজন্য তারা তাদের আজ্ঞাবাহ একজনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। যা দেখে পুরো জাতির মতো বিএনপিও হতাশ। যদি দেশে নির্বাচনের পরিবেশ না থাকে তবে বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।’
তিনি বলেন, ‘নাগরিকত্ব আইন নীতি-নৈতিকতা পরিপন্থী। এ আইন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, মৌলিত ন্যায়-নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সুতরাং আমাদেরকে প্রতিহত করতে হবে, প্রতিরোধ করতে হবে। প্রয়োজনে সব ধরনের ত্যাগ স্বীকার করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নাগরিকত্ব আইন করা হচ্ছে। এ আইনের মাধ্যমে সরকার একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চায়’।
নাগরিকত্ব আইনের খসড়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাগরিকত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত আইন সংকট তৈরি করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর নাছির বলেন,‘এখন নতুন ষড়যন্ত্র করতে চাইছেন আওয়ামী লীগ। বিএনপির নাকি নিবন্ধন বাতিল হবে। বিএনপির নিবন্ধন কে বাতিল করবে, নির্বাচন কমিশনার? একজনের কলমের খোঁচায় নিবন্ধন বাতিল হবে না। এটা কমিউনিস্ট পার্টি নয়, পাঁচজনের দল নয়, দেশের ১৬ কোটি জনগণ এই দলের মালিক।
বার কাউন্সিলের সাবেক সহসভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, পুরনো ধ্যান-ধারণার ভিত্তিতে কর্তৃত্ববাদী এই আইন তৈরি করা হয়েছে। সরকার এ ধরনের বিভিন্ন আইন করে সরকারি বিভিন্ন সংস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন নাগরিকদের অধিকার ধ্বংস করতে চায়। আইনটি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ,বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আল মোজাদ্দী, বুয়েটের অধ্যাপক ড.মো.সাব্বির মোস্তফা খান, নগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর প্রমুখ।
প্রতিক্ষণ/এডি/তনু